আপনি কি অতিরিক্ত চিন্তা ( টেনশন) করেন । টেনশন থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে সেটা ভাবছেন? তাহলে এই পোস্টটি দেখুন।

 আপনি কি অতিরিক্ত চিন্তা ( টেনশন) করেন ? টেনশন থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে সেটা ভাবছেন? তাহলে এই পোস্টটি দেখুন।






একটু আগেই কি আপনি খুব চিন্তা করছিলেন ? আপনি কি যেকোন জিনিস নিয়ে খুব বেশি বেশি ভাবেন? অন্য মানুষদের কথা নিয়ে বেশি ভাবেন ? সিচুয়েশন তেমন জটিল না হলেও সেটা নিয়ে ভেবে ভেবে চিন্তা করে সেটাকে জটিল বানিয়ে ফেলেছেন? এর ফলে আপনার সময় নষ্ট হয়। আপনি ঠিকভাবে শুতে পারেননা, ঘুম আসে না, সম্পর্ক নষ্ট হয়। আপনি ডিপ্রেশনে চলে যান, না জানি আরো কত কি হয় । তো আজকে আমরা আলোচনা করবো এর খারাপ দিকগুলো নিয়ে এবং সেই সাথে সাথে আপনাকে জানাবো এই অতিরিক্ত চিন্তার হাত থেকে কিভাবে বাঁচবেন ।


Number 01:-


প্রথম খারাপ দিক হলো :- এটা আপনার সময় নষ্ট করে। আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন কোন একটা বিষয় নিয়ে আপনার অনেক সময় যায় সেটা চিন্তা করতে করতে । আর এই সময়টা আপনি ইচ্ছা করে দেন না, আপনার ব্রেন আপনা-আপনি ওটা নিয়ে ভাবতে শুরু করে দেয়। আর একবার যখন চিন্তা করা শুরু করে দেন তখন এমন কোন শক্তি নেই যে তাকে থামাবে। 1 ঘন্টা 2 ঘন্টা 5 ঘন্টা বা পুরো একটা বেলা চিন্তাই করে যাচ্ছেন, একটা জিনিস নিয়ে ভেবে যাচ্ছেন অথচ ওই কাজটা মাত্র পাঁচ মিনিটের ছিল! পাঁচ মিনিট লজিক্যালি ভাবলেই সমাধানসূত্র পেয়ে যেতেন। এরকম হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন, 

 অতীতের কোনো বিষয় আপনার শোধরানো দরকার ছিল এটা ভেবে, এবার আপনি অতীতে চলে যান আর ভাবতে থাকেন যদি আমি ওকে এটা না বলে এই কথাগুলো বলতাম ও আমাকে এটা বলেছিল । যদি আমি ওকে এই কথাটা বলতাম তাহলে ও লজ্জায় পড়ে যেত , আপনি এখন মনে মনে তাকে হারাচ্ছেন, তখন যেটা বলতে পারেননি সেটা এখন বলছেন, কারণ আপনি তাকে হারাতে চান আপনার ইগো satisfied' করতে চান , যেন তেন প্রকারে আত্মসন্তুষ্টি করতে চান। তো এখন আপনাকে নিজেকে বলতে হবে , যে আপনি overthinking করছেন, বেশি চিন্তা করছেন , এরকম সিচুয়েশন যখনই বুঝতে পারবেন যে, আপনি overthinking করছেন সাথে সাথে ওই চিন্তা বাদ দেওয়ার জন্য একটা কাজ শুরু করুন, যেটা প্রডাক্টিভ হবে সেই সাথে সাথে কাজটা আপনার খুশি প্রদান করে, আনান্দ দেয় । হতে পারে বই পড়া, কম্পিউটারে কোন কাজ করা, ইভেন কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। এইভাবে আপনি অতীতে ফেলে আসা ভবিষ্যতে আগত বিষয় নিয়ে চিন্তা গুলো থেকে দূরে থাকতে পারেন।



Number 02:-


দ্বিতীয় খারাপ প্রভাব হলো অতিরিক্ত চিন্তা সমস্যা সমাধানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় । আপনি এটাও খেয়াল করবেন দেখবেন যখন আপনি কোন একটা সমস্যা নিয়ে বারবার চিন্তা করতে থাকেন তথন আপনি মনে করেন যে ওই সমস্যাটা সমাধান করছেন ! কিন্তু এটা আপনার ভুল ধারণা, এটাকে আপনি সমাধান করছেন না বরং বিষয়টি আরো জটিল করছেন। ওখানে আপনি সমাধানের জন্য কি কি করতে হবে তার উপর কাজ করছেন না। সমাধান তো 5 মিনিট 10 মিনিট আধাঘন্টা বা ম্যাক্সিমাম এক ঘন্টায় হয়ে যাওয়ার কথা । কিন্তু আপনি ভেবে ভেবে বিভিন্ন রকম সিচুয়েশন তৈরি করছেন । যেমন ধরুন , আমাকে এখান থেকে কলকাতায় যেতে হবেে, কিন্তু আমি রাস্তা চিনি না, তাহলে সমাধান কি হওয়া উচিত ? আমি কাউকে জিজ্ঞাসা করব, না হলে ইন্টারনেটে সার্চ করব যে, এখান থেকে কলকাতা কত দুর? কিভাবে কোন গাড়ি ধরে যেতে হয়, কতক্ষণ সময় লাগবে ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলো জানলে আমার সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ঝামেলা মিটে যায়। কিন্তু এসব না করে আমি চিন্তা করবো, আরে ইয়ার কলকাতা না গিয়ে যদি দিল্লি যাই দিল্লিতে নিশ্চয়ই আরো বেশি ভালো হবে ! তাহলে কেন আমি কলকাতায় যাবো? অথবা আমার মনে হয় মুম্বাই যাওয়া দরকার না হলে আটলিস্ট হায়দরাবাদ যাওয়া দরকার ।

আমি বসে বসে এসব ভাবতে লাগলাম, যার সাথে সমস্যা সমাধানের কোনো সম্পর্কই নেই। যেখানে সমাধানটা খুবই সহজ ছিলো, কোনো ব্যক্তির কাছে শুনে সেই মতো কলকাতা চলে যাওয়া যায় কিন্তু সেখানে আমি ভাবছি কলকাতা কেন যাচ্ছি? কবে যাচ্ছি? ওখানে আমার যাওয়ার দরকার আছে না দরকার নেই ? এরকম কোন সিচুয়েশনে আমরা কোন সমস্যা কে ভেঙে ভেঙে তা নিয়ে চিন্তা করতে থাকে ।

নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করতে থাকি, যে জিনিসটা হওয়ার কথা নয় সেটাকেও বানিয়ে ফেলি। সমস্যা সমাধানের ওপর কাজই করা হয়না ! তো পরেরবার যখনই আপনার ব্রেন বেশি চিন্তা করতে থাকবে সেটাকে থামানোর চেষ্টা করবেন এবং নিজেকে বলবেন কেন এতো নতুন নতুন সিচুয়েশন বানানো হচ্ছে ? কেন এত অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে? 


Number 03:-


পরের খারাপ দিকটা হলো এটা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় । আমি বা আপনি অনেকের কাছেই এমন শুনে থাকেন যে, আমার রাতে ঘুম আসছেনা ! চিন্তায় মাথা ফেটে যাচ্ছে! মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে! সে চায় ঘুমাতে কিন্তু কোনভাবেই ঘুম আসছে না ? এরকম কন্ডিশনে আগে যেমনটা বলেছি দুশ্চিন্তা কমাতে হবে পছন্দের কোনো কাজে নিজেকে ইনভাইট করতে হবে এবং সেখান থেকে আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করতে হবে । রাতে যদি ঘুম কম হয় সেই ঘুমের ঘাটতিটা দিনের বেলা ঘুমিয়ে পূরণ করে নিতে হবে। কিন্তু দিনের বেলা আপনি ঘুমাতে পারেন না কারণ আপনার অন্য কাজ করতে হয়, কাজ না করলে কাজের চাপ বাড়তে থাকবে, অন্য দিকে যেটা হবে ভালো ঘুম না হওয়ার কারণে আপনি কাজে ঠিকভাবে মন দিতে পারবেন না , এভাবে আপনার জীবন পুরো ডিসব্যালেন্স হতে থাকবে, না পারবেন ঠিকভাবে কাজ করতে , না পারবেন রিলেশনশিপ ঠিক রাখতে, কারণ ঘুমের ঘাটতি ফলে আপনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কথায় কথায় বকবক করতে থাকেন, উল্টোপাল্টা বলে ফেলেন ।



সো বন্ধুরা , এই ছিলো কিছু সমস্যা যেগুলো অতিরিক্ত চিন্তা করার ফলে আমাদের মধ্যে ঘটে ‌‌। আশাকরি পোস্টটির মূল বক্তব্য আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং তার থেকে উপকৃত হবেন। এবার আমাকে কমেন্ট করে জানান আপনিও কি Overthinking করেন? আলোচিত লক্ষণগুলোর মধ্যে কোন কোন লক্ষণ আপনার মধ্যে আছে ? পোস্টটি উপকারী মনে হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ ।

Post a Comment

0 Comments