জীবনকে বদলে দেওয়ার 5 টি সহজ সূত্র।।Dhirubhal ambani 5 rules of success in Bangla ..





মার্কেটিং জিনিয়াস, রিক্স টেকার , শেয়ার মার্কেটিং এক্সপার্ট এই সবগুলোই গুণের অধিকারী ক্লাস টেন পাশ করা সেই ব্যক্তি যিনি দুনিয়াকে দেখিয়ে দিয়েছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কলেজগুলিতে না গিয়েও একজন টপ বিজনেসম্যান  হওয়া সম্ভব । একটি ছোট্ট গ্রামে থেকেও পুরো পৃথিবীকে নিজের হাতের মুঠোয় করা সম্ভব। একদমই ঠিক আমি আজকে বিখ্যাত বিজনেসম্যান ধিরাজালাল ধীরুভাই হিরাচান্ড আম্বানির কথা বলছি। যাকে আমরা সাধারণত ধীরুভাই আম্বানি নামেই জানি। যিদি ভারতবর্ষে ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের ধারণা বদলে দিয়েছেন। আজ আমি ধীরুভাই আম্বানির জীবনের কিছু কাহিনীর সাথে সাথে জীবনের যেকোনো ফিল্ডে সাকসেস পাওয়ার জন্য পাঁচটি জীবন বদলে দেওয়ার টিপস আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আপনি স্টুডেন্ট জব না বিজনেস যাই করে থাকুন না কেন? আপনার সেই ফিল্ডে সাকসেসফুল হওয়ার কোনো না কোনো পথ আপনি এই পোষ্টটি সম্পূর্ন পড়ার পর অবশ্যই পাবেন‌। তাহলে পোস্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন । 




Lesson 01):- 


যে স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা রাখে সে পুরো পৃথিবী জয় করতে পারে। ধীরুভাই আম্বানি যখন ছোট ছিলেন অর্থাৎ মাত্র বারো তেরো বছর বয়সেই স্বপ্ন দেখার হিম্মত রাখতেন। যখন তিনি স্কুলে ছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর , আর স্কুলের পরেই পকরা বিক্রি করা শুরু করেছিলেন । এরপর এই স্বপ্ন দেখেন ইন্ডিয়া ছেড়ে বাইরে যাওয়ার। এবং ইন্ডিয়া ছেড়ে ইয়ামানে  গিয়ে জব করতে থাকেন। মাত্র দু'বছর জব করার পর স্বপ্ন দেখেছেন ইন্ডিয়া এসে নিজের বিজনেস করার। আর ইন্ডিয়াতে ফিরে এসেই নিজের কাকাতো ভাইয়ের সাথে রিলায়েন্স কমার্শিয়াল কর্পোরেশন চালু করেন, স্বপ্ন দেখতে থাকেন। সামনে এগোতে থাকেন । স্বপ্ন দেখার হিম্মত করেছিল যার ফলে তিনি স্বপ্নদের ধরতে পেরেছেন। তাহলে আপনিও স্বপ্ন দেখতে থাকুন আর সাহস রাখুন আপনার স্বপ্নদের হাতের মুঠোয় আনার। কারণ যেকোন বড় কিছুই একসময় কারো স্বপ্ন ছিল, যে কোনো বড় কিছুর সূচনায় স্বপ্ন থেকেই হয়, তাহলে স্বপ্ন দেখার হিম্মত রাখুন আর ছোট ছোট অ্যাকশান নিল। পুরো ফোকাস এবং সাহসের সাথে সেই স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় আনতে । যে স্বপ্ন দেখার সাহস রাখে সেই পুরো পৃথিবী জিতে নিতে পারেন।


Lesson 2):- 


 কঠিন সময়েও নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকুন আর সমস্যাকে নতুন সুযোগে পরিবর্তন করুন । আমাদের সবারই মনে হয় যে সফল সাকসেসফুল ব্যক্তিদের পথে হয়তো কোন বাঁধাই আসে না। কিন্তু রিয়েলিটি এটা নয়। আসল সত্য তো এটাই যে, সব সাকসেসফুল মানুষদের প্রবলেম  আমাদের থেকে অনেক বেশি থাকে। যেমনটা ধীরুভাই আম্বানি জীবনেও হয়েছিল। তার জীবনেও প্রচুর সমস্যা আসে কিন্তু তিনি Winer এর মত,  একটি  চ্যাম্পিয়ন এর মত, লিডারের মতোই তিনি লেগে থাকে। 1965 সালে তার পার্টনারশিপ ভেঙে যায়। তাও তিনি হিম্মত ও সাহসের সাথে আরো বেশি স্পিড এবং ফোকাসের সাথে কাজে লেগে থাকেন। 1966 সালে তার প্রথম ফ্যাক্টরি বানানোর সময় রুপির দাম এত কমে যায় যে জিনিসের দাম প্রচুর গুণ বাড়তে থাকে। তখনও তিনি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস এর সাথে কাজ করতে থাকেন। নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করেন কিন্তু বাজারে আগে থেকে থাকা প্রোডাক্ট  হোলসেলারদের লিডারদের কারণে তার প্রোডাক্ট বাজারে আসা সমস্যা হয়ে পড়ে। তাও পুরো আত্মবিশ্বাসের সাথে লেগে থাকেন ও সমস্যার সমাধান করে ফেলেন । হেল্থ এর দিক  থেকেও তিনি বাধার মুখে পড়েন।  1986 সালে তাঁর প্যারালাইসিস অ্যাটাক হয় ।তো বন্ধুরা সরকার, হেলথ প্রোডাক্ট সবদিক থেকে বাধা সত্ত্বেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে স্থির থেকে সমস্ত সমস্যা অর্থাৎ প্রবলেম গুলিকে অপারচুনিটিতে পরিবর্তন করে ফেলেন ।বন্ধুরা আপনার আমার পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জীবনেই আসে বাঁধা  কিন্তু যারা সমস্যার মধ্যেও নিজের টার্গেটে টিকে থাকে , সমস্যাকে যেন নতুন সুযোগে বদলে ফেলে, সফলতা তাদের সামনে মাথা নিচু করে।


Lesson 3):-


আপনার জীবনে কোনরকম রিক্স না নেওয়াটাই হলো আপনার জীবনের সব থেকে বড় রিক্স। ধীরুভাই আম্বানিকে এমনিতেই বলা হয় না তিনি রিক্স টেকার। তার জীবন সম্পর্কে একটু জানলেই আপনি দেখতে পাবেন তিনি একের পর এক রিক্স নিয়েছেন যার ফলে তার নলেজে কনফিডেন্স আরো বাড়তে থাকে। দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার সময়ে রিক্স, জব ছেড়ে দেশে ফিরে আসার সময় রিক্স , বিজনেস করা নিজের ফ্যাক্টরি দাঁড় করানোর সময় রিক্স ,  তাও সেই সময়। তিনি এভাবে তার জীবনে প্রতিটি  রিক্সকে অতিক্রম করে সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠেছে।



Lesson 4):- 


বড় কিছু ভাবো আগে থেকে ভাবো দ্রুত প্লানিং এর সঙ্গে অ্যাকশন নেওয়া শুরু করো। আমাদের বিচারের উপর কারো অধিকার থাকে না তেমনি বলেন যদি তোমাকে বড় কিছু করতে হয় তাহলে সবসময় বড় কিছু ভাবো অন্যদের থেকে আগে ভাবো। তাড়াতাড়ি ভাবো না হলে অন্য কেউ তোমার আগে ভেবে তোমার আগে বেরিয়ে যাবে । তার বড় ভাবনার ফলে রিলান্স কে 1977 সালে মানুষের মধ্যে নিয়ে এসে আইপি অফার করেন। এমনটা ইন্ডিয়াতে তিনি প্রথম করেছিলেন । যার ফলে 58,000 ইনভেস্টরা তার সাথে জোরেন। যা একটি রেকর্ড এ পরিণত হয় । তারপর তার উচ্চ ভাবনার জন্য রিলান্স সব সময় সবার আগে থাকে । ইন্ডিয়ার প্রথম চারজন 500 অর্থাৎ ওয়ার্ল্ডের টপ 500 কোম্পানির তালিকায় তিনি নাম লিখিয়ে নেন। এই ভাবনাটি মুকেশ আম্বানি ও কাজে লাগান। 155 নাম্বারে  থাকা ডেটা ইউজেস থাকা জিও সিম কে ভারতবর্ষের নাম্বার ওয়ান ডাটা কনজিয়োমিং সার্ভিসে পরিণত করে।


Lesson 5):- 


তুমি যেটা পারো সেটাই করো ,বাকি সব ছেড়ে দাও। এই উপদেশ টি বিজনেসের বাদশা বলিউডের বাদশা কে দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে অমিতাভ বচ্চন একটি ইন্টারভিউতে তিনি বলেন যে যখন অমিতাভ বচ্চন পলিটিক্স নিয়ে সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তখন ধীরুভাই আম্বানি তাকে বলেন যে অমিতাভ তুমি যেটা পারো সেটাই করো । তোমার কাজ লোকেদের এন্টারটেইনমেন্ট দেওয়া। তুমি অভিনেতা কোন নেতা নয়, শুধু সেটাই করো যেটা তুমি পারো। তখন অমিতাভ বচ্চন তার কথা মানেন। ধীরুভাই আম্বানি শুধু সেটাই করেছেন যেটা তিনি পারতেন। তার কাজ ছিল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মারকেটিং, তিনি সেগুলোই করেছেন যেগুলো তিনি পারতেন। আর পৃথিবীকে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন। 





বন্ধুরা এই ছিল ধীরুভাই আম্বানির লাইব্রেশন। যেগুলি আপনারা ও নিশ্চয়ই নিজের লাইফে কোন না কোন সিচুয়েশনে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে থাকবেন। বিজনেস ম্যাগনেট প্রচুর মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন । লাইফে কিভাবে  আগে যাওয়া যায়, তার মধ্যে থেকে কিছুটা এই ছোট্ট পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের পোস্টটি ভালো লেগেছে।

Post a Comment

0 Comments