Stop wasting your time.. সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শিখুন।। Motivation Bangla.

 


আজকে আমি আপনাদের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো তার মাহাত্ম্য যদি একজন ছাত্র বুঝতে পারে, তাহলে তাঁর জীবনে সাকসেস পাওয়া গ্যারান্টি। এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বোঝানোর জন্য একটি রিয়েল লাইফ এক্সাম্পল দেওয়াটা খুব দরকার। তাহলে চলুন শুরু করছি । 

আপনারা জর্জ ইস্টম্যান এর নাম শুনেছেন? তিনি 1888 খ্রিস্টাব্দে কোডাক কোম্পানি খুলেছিলেন।  1908 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোডাক কোম্পানি ক্যামেরা ও ছবি 80% বাজার ক্যাপচার করে ফেলেন।  প্রায় সারা পৃথিবীর ক্যামেরা কোডাক কোম্পানি বানাত। সমস্ত ছাত্রদের কোডাক কোম্পানি পুরো জার্নি জেনে রাখা খুব দরকার। তাই পোষ্টটি  শেষ অব্দি অবশ্যই পড়বেন ।



কোডাক তিন ধরনের জিনিস বানানো ক্যামেরা, ফটো ফিলিম এবং ফটো পেপার। তখনকার যুগে কোডাক কোম্পানি ফটোগ্রাফিকে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলো, এবং যে কেউ ক্যামেরা কিনতে পারতো, এবং যেকেউ ফটোগ্রাফি করতে পারতো । এখন আপনাদের আমি বলতে চাই পৃথিবীর সবথেকে বড় কোম্পানি আজ কেন বন্ধ হয়ে গেল ? কোডাক যে তিনটি জিনিস বানাতো যেমন ক্যামেরা , ফটো ফিলিম এবং ফটো পেপার । তারমধ্যে ক্যামেরা তো খুব সস্তা ছিল। কিন্তু ফটো ফিলিম  ও ফটো পেপার দামি ছিল। বলতে গেলে কোডাকের আসল ইনকাম হতো ফটো ফিলিম এবং ফটো পেপার থেকে। যেমন আপনারা বাড়িতে অলআউট অথবা অন্য যে কোন লিকুইড মেশিন ব্যবহার করে মশা তাড়াবার জন্য ।লিকুইড মেশিন তো আমাদের একটাই দরকার হয় কিন্তু ওটার রিফিল যা আমাদের বারবার লাগাতে হয়। তাই এই সমস্ত কোম্পানি মেশিন থেকে নয় রিফিল থেকে টাকা ইনকাম করে। এখন আসছি আমরা কোডাকের উপর, ধীরে ধীরে বাজারে ডিজিটাল ক্যামেরা আসতে লাগল যেখানে রিল  ও ফটো পেপার এর কোন দরকার ছিল না , এবং আপনারা হয়তো জানেন না সবার প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা মার্কেটে কোডাকই নিয়ে আসে। কিন্তু তাহলে কি এমন হলো যে কোডাক কোম্পানিকে বন্ধ করে দিতে হলো? তাহলে চলুন জানি কেন এমন হলো? যা প্রত্যেকটি ছাত্রদের কাছে শিক্ষণীয় ।‌





কোডাক একজন সাইন্টিস , নীলচে গান্থারকে কোডাক কোম্পানি আরো ইমপ্রুভমেন্টের  জন্য ডেকেছিলেন। কোডাকের  ম্যানেজমেন্ট গান্থারকে  জিজ্ঞেস করেছিল, ফটোগ্রাফি আগামী দিন কেমন হতে চলেছে? গান্থার অ্যানসার দিয়েছিলে ডিজিটাল,  কোডাক মানেজমেন্ট টিম এটা শুনে বলে এটা আপনি কি বলছেন ? আমরা তো অলরেডি কিছু ডিজিটাল ক্যামেরা বানিয়ে রেখেছি কিন্তু আমাদের মধ্যে কোন চান্সেস নেই আগামীতে ডিজিটাল ক্যামেরা মার্কেটে আসার? সো, কোডাক যে ডিজিটাল ক্যামেরা প্রথম বানায় সেই এই ডিজিটাল ক্যামেরার ফিউচারস বুঝতেই পারলো না। আসলে কোডাক ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যাপারটা মানতেই পারছিল না । কারন  , তাদের সমস্ত ইনকাম ফটো ফিলিম এবং ফটো পেপার থেকে আসছিলো। যার জন্য কোডাক বড় বড় ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান লাগিয়ে রেখেছিল, কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা যদি সে নিয়ে আসে তাহলে তাদের সেই ফটো ফিলিম  এবং পেপারের বড় বড় ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান বন্ধ করে দিতে হবে। তাই কোডাক ডিজিটাল ক্যামেরার ফিউচারস কোনোভাবেই মানতেই চাইছিল না। এই সময় পূজি, সনি এবং ক্যানান ডিজিটাল ক্যামেরা মার্কেটে নিয়ে আসতে থাকে । কোডাক যে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা বানায় সে মার্কেটের ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে আসার  সাহসীই করতে পারছিল না। তাহলে তাদের সমস্ত বড় বড় ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান বন্ধ করে দিতে হতো। 1990 এর দশকে কোডাক কোম্পানি অনেক লসে রান করতে থাকায় প্রায় 10,000 জন এমপ্লয়িসকে  চাকরি হারাতে হয়। এবং সনি, ক্যানান বিভিন্ন কোম্পানি ধীরে ধীরে মার্কেটে ডিজিটাল ক্যামেরা ছাড়তে শুরু করে এবং কোডাক থেকে অনেক এগিয়ে যেতে থাকে ‌‌। যখন কোডাক কোম্পানি শেষ অব্দি মার্কেটে ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়ে আসে তখন কেউ নিতে চাইলো না। কারণ কোডাক   কোম্পানি অনেক লেট করে ফেলেছে ডিজিটাল ক্যামেরা মার্কেটে নিয়ে আসতে। এবং মার্কেটে অলরেডি তখনই সনি, ক্যাননের ডিজিটাল ক্যামেরার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে । এবং শেষ পর্যন্ত 2012 সালে কোডাক কোম্পানি পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দিতে হয়।




আমি রিয়েল লাইফ এক্সাম্পলটি এটা বোঝাতে দিলাম যে,  সময় কখনো থেমে থাকে না যদি আপনি আপনার পড়াশোনা ক্যারিয়ার নিয়ে এখনই সিরিয়াস না হন তাহলে পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই পরে সিরিয়াসলি স্টাডি করার কোন মানেই থাকবে না। পৃথিবীর সবকিছু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, কম্পিটিশন দিন দিন বৃদ্ধি হচ্ছে, তাই আপনার সময় একদমই নষ্ট করবেন না, কারণ সময় আর পরে ফিরে পাবেন না। সফল মানুষরা সবসময় সময়ের সাথে চলেন, তারা কখনোই কোনো বাহানা বানায় না যে , আজ থাক অনেক সময় আছে পরে করবো । অথবা কখনো অলসতার দাস হয়না, তারা জানে, এই বাহানা বানানো ও অলসতার পরিণাম  ভবিষ্যতে কি হতে পারে। এখন আপনাদের কাছে যা সময় আছে তাতে শুধু স্টাডি করুন। সারা জীবন তো আর স্টাডি করতে হবে না? শুধু বেশ কয়েকটি বছর। আপনারা যারা এই কয়েকটি বছর ভালোভাবে পড়াশোনায়  সময় দিতে পারবেন। তারাই আগে গিয়ে সাকসেস পাবে, এবং সারা জীবন তার ফল ভোগ করবে । একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন যে, আমাদের শুধু কিছু সময় কিছু বছর পড়াশোনা করতে হবে এই পড়াশোনা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।



Post a Comment

0 Comments