চিন্তা পরিবর্তন করুন সফলতা নিজে আপনাকে ধরা দেবে ।। Thinking positive..

 

চিন্তা পরিবর্তন করুন সফলতা নিজে আপনাকে ধরা দেবে ।।  Thinking positive..







একজন বিখ্যাত সন্ন্যাসী ছিলেন। আর তার এক শীর্ষ এক দিন বাড়ি বসে ভাবছিল যে তার গুরুদেব তো অনেক কিছুই জানেন তাহলে আমার ভবিষ্যৎ টা কেমন হবে যদি জানা যেত খুবই ভালো হতো । পরের দিন সকালেই শীর্ষ সন্ন্যাসীর সামনে উপস্থিত হলো, হে গুরুদেব আপনি তো অন্তর্যামী দয়া করে বলুন আমার ভবিষ্যৎ কেমন হবে? সন্ন্যাসী একদম শান্ত ভাবে বসে থাকলেন এবং চোখ বন্ধ করলেন, মনে হচ্ছে তিনি ভবিষ্যৎ দেখছেন । বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পর শীর্ষ আবার জিজ্ঞাসা করলো, হে গুরুদেব বলুন না আমার ভবিষ্যৎ কেমন হবে ? এবার সন্ন্যাসী চোখ খুললেন এবং বললেন আমি তোমার ভবিষ্যৎ একদম পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি তুমি যেমনটা চাইবে তেমনটাই হবে ।




বন্ধুরা , আমাদের ভবিষ্যত আমাদের চিন্তা ভাবনা দ্বারা নির্মিত হয়, চিন্তাভাবনা দ্বারাই আমরা জীবনে জয়ী হই, আবার এটার মাধ্যমেই হেরে যাই, সফলতা শিখরে পৌছাতে পারি । আবার নিরাশার গর্তে, এই সবই আমাদের চিন্তা নির্ভর ।



বুদ্ধ বলেন, আমরা যেটা ভাবি আমরা যেটা নিয়ে চিন্তা করি আমরা সেটাই হয়ে যায় অর্থাৎ আমরা যদি চিন্তা ভাবনা বদলে ফেলি তাহলে সব কিছুই বদলে যাবে । পৃথিবী সামান্য কিছু মানুষই মানসম্মান টাকা-পয়সা খুশি, ধন-দৌলত সমৃদ্ধি এবং সফলতা কেন অর্জন করে? যেখানে প্রায় সব মানুষই একটা গড় আয়ু পাচ্ছে, এটার কারণ কি? কেন এমন হয় ? আপনি কি কখনও ভেবেছেন কেন অধিকাংশ মানুষের কাছে সফলতা ধন-দৌলত সমৃদ্ধি খুশি এগুলো থাকেনা? কারণ পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ অন্যের সফলতা নিয়ে বেশিরভাগ সময় ভাবতে থাকে এবং নিজেকে নিয়ে কম ভাবে এজন্যই নিজে অসফল থেকে যায় , আর অন্যরা সফল হয়ে যায়। অন্যের সফলতা সম্পর্কে জানা এবং বোঝা এটা ভালো কথা কিন্তু নিজের সফলতা নিয়ে চিন্তা না করাটা ভালো কথা নয় ! এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে, শুধুমাত্র চিন্তা করলেই যদি মানুষ সফল হয়ে যেত তাহলে এত কম মানুষ সফল কেন ? এটা এজন্য হয় কারণ অধিকাংশ মানুষ চিন্তাই করে না ওটা নিয়ে ভাবে না । হেনরি ফোর্ড বলেন, "thinking is the hardest work". অর্থাৎ চিন্তা করাই হলো সবচেয়ে কঠিন কাজ । হয়তো এই কারণেই এত কম সংখ্যক মানুষ এই কাজটা করতে পারে , হ্যা এটাই বাস্তব এটাই সত্যি । এখন হয়তো আপনি আমার কথার সাথে সহমত হবেন না ! কিন্তু অধিকাংশ মানুষ সত্যিই চিন্তা করে না, আপনি নিজের কথাই ধরুন, সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে আপনি আপনার স্বপ্ন নিয়ে কতটুকু চিন্তা করেছেন ? আর কতটুকু লিখেছেন ? আপনি একদমই চিন্তা করেননি রাইট! বা হয়তো দুই এক মিনিট চিন্তা করে পুনরায় অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন!




 বন্ধুরা যেভাবে আমাদের পৃথিবীর অভ্যন্তরে অনেক মূল্যবান খনিজ উপাদান লুকিয়ে থাকে , যেগুলো বাইরে থেকে দেখা যায় না, এগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে সহজেই অনুমান করা যায় না যে , এগুলো কোথায় রয়েছে ? তা না জানার সত্ত্বেও মানুষ ঐ সমস্ত খনিজ উপাদান গুলো পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ থেকে খুঁজে নিয়ে আসে অনেক চেষ্টার মধ্য দিয়ে । অনেক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে । ঠিক একইভাবে প্রতিটা মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিভার খাজানা লুকিয়ে থাকে শুধু প্রয়োজন মস্তিষ্কে লুকিয়ে থাকা ঐ খাজানা গুপ্তধনটি খুঁজে বের করার। যে মানুষগুলো এই খাজানার সন্ধান পেয়ে যায় তারা সফলতার সিঁড়িতে চলতে শুরু করে । কিন্তু যে এই গুপ্তধনটি এমনি ছেড়ে দেয় সে সারাজীবন দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে কাটিয়ে দেয়। জন মিল্টন বলেন, আমাদের ব্রেইন সত্যিই অদ্ভুত ! এটা স্বর্গকে-নরকে আবার নরকে স্বর্গে বদলে দিতে পারে। মস্তিষ্কে লুকিয়ে থাকা গুপ্তধনটি খোঁজার জন্য বেশি চাপ নেওয়ার দরকার নেই শুধুমাত্র আপনার চিন্তা ভাবনায় এটাকে পাইয়ে দিতে পারে । চিন্তা এতটাই শক্তিশালী হয় যদি এর সাথে লক্ষ সংকল্প এবং প্রবল ইচ্ছা যুক্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি পৃথিবীর যে কোন জিনিস অর্জন করতে পারবেন । আপনার চিন্তা ভাবনাই আপনার সফলতার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে । যদি আপনার কাছে চিন্তাভাবনা না থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার কাছে কিছুই নেই । চিন্তা করা ছাড়া আপনি ওই জিনিসটা পাবেন না যেটা আপনি পেতে চান। আপনার চিন্তাভাবনা আপনার লক্ষ্য আপনার বিশ্বাসই আপনাকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাবে যে উচ্চতায় আপনি পৌঁছাতে চান । জীবনে সফলতা পাওয়ার সহজ পথ হলো আপনার চিন্তা ভাবনাকে সফলতার দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করুন আর আপনার চিন্তা ভাবনাকে সফলতায় বদলে দিন। সৃষ্টিকর্তার দেয়া মূল্যবান গুপ্তধনকে বেকার নষ্ট হতে দেবেন না আপনার স্বপ্নকে চিন্তা শক্তি দিয়ে বাস্তবায়িত করুন সেই অনুযায়ী অ্যাকশন শুরু করুন ।



বন্ধুরা যদি পোস্টটি আপনার ভালো লাগে, আপনার উপকারে আসে, কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন। আর আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন।





Post a Comment

0 Comments