কেউ সাথে না থাকলে ও মন খারাপ থাকলে এটা একবার দেখুন, যা আপনার জীবনকে বদলে দিবে । Life Changing Motivational post..

 কেউ সাথে না থাকলে ও মন খারাপ থাকলে এটা একবার দেখুন, যা আপনার জীবনকে বদলে দিবে । Life Changing Motivational post..




যদি আপনি জীবনে অনেক হতাশ হয়ে আছেন ! একা হয়ে গেছেন ! সবসময় চিন্তা করেন ! তাহলে আজকের পোষ্টটি একটু মনোযোগ দিয়ে দেখুন আপনার মনও শান্ত হয়ে যাবে ও আপনার সম্পূর্ণ জীবনটাই বদলে যাবে। তো চলুন শুরু করা যাক:- 


 সময় কখনো বৃদ্ধ হয় না বরং সময় প্রতিদিন আরও তাজা হতে থাকে । সময় যদি বৃদ্ধ হতো তাহলে কবেই সে মারা যেত ! সময় কখনো বৃদ্ধ হয় না কিন্তু হ্যাঁ এটা অন্যদেরকে বৃদ্ধ করে দেয় । সময় অনেক মূল্যবান তাই এটাকে ফালতু কাজে নষ্ট করবেন না কারণ যে সময় একবার আপনার হাত থেকে বেরিয়ে যাবে সে আর কখনোই ফিরে আসবে না ! তাই সময়কে সম্মান করুন সময় আপনাকে সম্মানীয় করে দেবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, সময় কাটাচ্ছি তাহলে বলবো:- আপনি কিভাবে সময়কে কাটবেন ? সময় আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কেটে দিচ্ছে । কেউ জিজ্ঞেস করে আজকাল সবথেকে বড় রোগকে ? আমি বলি যে , লোকে কি বলবে ? লোকে কি বলবে এটা আজকের সবথেকে বড় অসুখ। কারণ আজ লোকে কি বলবে এটা ভেবে অনেকে কোন কাজই করেনা । না হাসে, না কান্না করে আর যদি কিছু করেও তাহলে কেবল এটা ভেবেই করে যে লোকে কি বলবে ? কিন্তু আপনার এটা জানা থাকা দরকার পৃথিবী কিছু না কিছু তো সবসময় বলবেই, আপনি নিচের দিকে তাকিয়ে চলুন লোকে বলবে আপনি কাউকে দেখেন না, উপরের দিকে তাকিয়ে চলুন, লোকে বলবে আপনার অহংকার হয়ে গেছে, চারিদিকে তাকিয়ে হাঁটলে লোকে বলবে আপনার চোখকে কন্ট্রোল করতে পারেন না ! চোখ বন্ধ করে বসলে, লোকে বলবে আপনি বড় সাধু হয়ে গেছেন। আর যদি চোখকেই নষ্ট করে ফেলেন তাহলেও লোকে বলবে, কিছু তো খারাপ কাজ করেছে এবার শাস্তি তো ভোগ করতেই হবে ? তাই পৃথিবী কি বলছে সেটা চিন্তা করবেন না সেটাই করুন যেটা আপনার সঠিক মনে হবে । যদি আপনি সফল মানুষ হতে চান তাহলে আমার একটা কথাকে সবসময় মনে রাখুন, সফলতার জন্য জীবন দিয়ে চেষ্টা করুন কিন্তু সফলতার নেশাকে কখনোই নিজের ব্রেনে চড়তে দেবেন না , কারণ যদি আপনার সফলতার নেশা একবার ব্রেনে চলে যায় তাহলে আপনার ব্রেইন তখন আকাশে উড়বে আর যখন সেখান থেকে আপনি পড়ে যাবেন তখন আপনারা কোন অস্তিত্বই থাকবে না। তাই সবসময় মনে রাখবেন, কখনোই নিজেকে এতটা উপরে নিয়ে যাবেন না যে লোক আপনার সাথে বুঝতে না পারে।


 একটি মাছ যতক্ষণ নদীতে থাকে ততক্ষণ সে খুশিতে থাকে । একদিন সে নদী থেকে বেরিয়ে আসে তখন সে কষ্ট পায় আর একটি সন্ন্যাসীকে  জিজ্ঞেস করে, আমার কষ্ট কেন হচ্ছে ? তখন সন্ন্যাসী বলে, তুমি জল থেকে দূরে চলে এসেছো তাই তোমার কষ্ট হচ্ছে । জলে ফিরে যাও শান্তি পেয়ে যাবে একইভাবে আজ মানুষ তার আপনজন পরিবার ও ঈশ্বর থেকে দূরে চলে গেছে তাই এরা এত কষ্ট পাচ্ছে। মনের শান্তি হলো জান্নাত। জান্নাত, জাহান্নাম কেবল মৃত্যুর পরেই পাওয়া যাবে এটা সঠিক নয় বেঁচে থেকেও সেটাকে উপভোগ করা যায়। সুখশান্তিকে কোন মন্দির , মসজিদে না খুজে নিজের বাড়িতে খুঁজুন কারণ জাহান্নামের রাস্তা আপনার বাড়ির ভেতর দিয়ে গেলে, জান্নাতের রাস্তাটাও ওখান দিয়েই গেছে । একটি সিঁড়িকে যেমন উপরে উঠতে ও নিচে নামতে কাজে লাগে। তাই যে সিঁড়ি দিয়ে জাহান্নামে নামা যায় সেই সিঁড়ি দিয়ে আপনি জান্নাতে উঠতে পারবেন । যখন আপনি আপনার বাবা-মায়ের সাথে থাকবেন তখন আপনি খোদার কাছে শুকরিয়া আদায় করুন কারণ কিছু অনাথ লোক এই মুহূর্তটা জন্য আফসোস করে । 18 বছর বয়সে মনে হতো আপনা টাইম আয়েগা, 30 বছর বয়স হয়ে গেছে তাও মনে হয় আপনা টাইম আয়েগা, 40 বছর বয়সেও একটি আশা ছিল আপনা টাইম আয়েগা, পঞ্চাশ পার হয়ে গেছে সন্তানেরা বড় হয়ে গেছে কিন্তু আপনার টাইম তো আসেনি ? তারপর হঠাৎই একদিন বুকে ব্যথা হয় আর ডক্টর সেই কথাটা বলে যে আপকা টাইম আগেয়া। সবাইকে ডেকে নিন। তাই আপনা টাইম আয়েগা এটা ভেবে ভালো সময়ের অপেক্ষা করা বন্ধ করুন , প্রতিটি মুহূর্তে প্রাণখুলে বাঁচুন। 


সামান্য একটু খাবার পেট পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য খোদা কত সুন্দর ব্যবস্থা করেছে । যদি সেটা গরম হয় তাহলে সেটা হাত বলে দেয়, যদি সেটা শক্ত হয় সেটা দাঁত বলে দেয়, যদি সেটা তেঁতো বা ঝাল হয় সেটা জিভ বলে দেয়, যদি সেটা বাসি বা খারাপ হয় তাহলে সেটা নাক বলে দেয়, কেবল সেটা পরিশ্রমের নাকি বেইমানের সেটার বিচার আপনাকে করতে হবে। মৃত মাছগুলো স্রোতের সাথে বয়ে চলে কিন্তু জ্যান্ত মাছগুলো স্রোতের বিপরীতে চলতে পারে । তাই যদি আপনিও বেঁচে আছেন তাহলে ভুল এর মোকাবেলা করুন । কর্ম হল সেই ফসল যা মানুষকে একদিন না একদিন কাটতেই হবে। তাই সব সময় ভালো বীজ লাগান যাতে আপনি ভালো ফসল কাটতে পারেন । কাউকে ধোঁকা দিয়ে খুশি হবেন না কারণ উপরওয়ালা যখন শাস্তি দেয় সেটা মুখে নয় মনে গিয়ে লাগে । রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার প্রতিটা বাড়ে কোন না কোন ভগবানকে আমরা পূজা করি। কিন্তু একটিবার এমন আছে সেটাকে যদি আমরা মানি আমাদের জীবনটাই বদলে যাবে আর ঐ বারটিকে বলে পরিবার । এই পরিবারে আমরা সবকিছু পায় যদি পরিবার আপনার সাথে থাকে তাহলে প্রতিটা বারই আপনার সাথে থাকবে। আমাদের রোজগার করা সম্পত্তি যে কেউ ভাগ করতে পারে কিন্তু আমাদের কর্মকে কেউ কখনো ভাগ করতে পারবে না। কারণ আমাদের দ্বারা করা কর্মের ফল আমরাই পাবো। আমাদের জীবনের এই বইতে সবথেকে ভালো চ্যাপ্টারগুলো আমাদের ছোটবেলা । নিজের বাবা-মায়ের খেয়াল রাখা মানুষটা পৃথিবীর সবথেকে বড় বাদশা হয়। টাকা দিয়ে পাওয়া খুশি অল্প কিছু সময়ের জন্য থাকে কিন্তু আপনজনের কাছ থেকে পাওয়ার খুশি সারা জীবন থাকে । সফল হবার জন্য আপনাকে একাই এগিয়ে যেতে হবে, লোক আপনার পেছনে কখন আসবে যখন আপনি জিততে শুরু করবেন। চারদিন সবার থেকে দূরে গিয়ে দেখুন লোক আপনার নাম পর্যন্ত ভুলে যাবে ।মানুষ সারা জীবন এই ধোকাতেই থাকে যে, সে সবার কাছে প্রিয় কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনার থাকা না থাকাতে কারোরই কিছু যায় আসে না । সম্পদ হলো লবণের মতো, তার প্রয়োজন তো আছে কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি হয়ে গেলে এটা জীবনের সাদটাকেই নষ্ট করে দেয় । সততার সাথে যারা কাজ করে তাদের সখ হয়তো পূর্ণ হয়না কিন্তু ঘুম শান্তিতে পূর্ণ হয়। আর যারা বেইমানি টাকা রোজগার করে তাদের সখ পূর্ন হলেও শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। 


সবশেষে বলবো, মানুষ 6 টি কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে। ঘুম ,রাগ ,ভয়, ক্লান্তি , অলসতা ও কাজকে ফেলে রাখার অভ্যাস। তাই এই ছয়টি জিনিসকে সবসময় নিজের কন্ট্রোলে রাখুন। তো বন্ধুরা কেমন লাগলো পোস্টটি কমেন্ট করে অবশ্যই বলুন।


Post a Comment

0 Comments