এই অভ্যাস গুলো মেনে চলুন , ব্রেন পাওয়ার হাজার গুণ বৃদ্ধি পাবে।। গ্যারান্টি। How to be a GENIOUS and think creatively? ..



ভাই তুই এতো জিনিয়াস হলি কিভাবে বলতো ? তোর মতো করে আমিও কেন ভাবতে পারিনা ? সিক্রেট টা কি বলতো ? আরে না না কী যে বলিস তুইও যেমন আমিও তেমন এতে জিনিয়াস এর কি আছে ? আপনার আশেপাশে নিশ্চয়ই এমন ধরনের মানুষ রয়েছেন যারা আপনার থেকে অনেকটা বেশি বুদ্ধিমান । যেসব সমস্যা আপনার কাছে খুব বড় মনে হয় সেই সব প্রবলেম গুলিকে এইসব মানুষেরা খুব সহজেই solve করে দিতে পারেন । স্কুল-কলেজে এই ধরনের ছাত্ররাই কম পড়েও টপ করে ফেলে । আর তাদের ক্যারিয়ারের গ্রোথ হতেই থাকে। কিন্তু এইসব মানুষদের দেখে মাঝে মাঝে হয়তো আপনার ও মনে হয় যে কীভাবে এরা এতো বুদ্ধিমান হলো ? কিন্তু ভাই বুদ্ধিমান বা জিনিয়াস কিন্তু কেউ জন্ম থেকেই হয়ে আসে না ! একজন মানুষের ইন্টেলিজেন্স এবং স্মার্টনেস নির্ভর করে তাদের রোজ কার অভ্যাসের উপরে ? যে তারা প্রতিদিন কি কি করেন ? কেমন চোখে পৃথিবী কে দেখেন ? যদি আপনিও অন্যদের থেকে আলাদা হতে চান তবে আপনাকে ও অবশ্যই এমন কিছু ইউনিক হ্যাবিট ফলো করতে হবে যা সবাই করেন না । আর এই ইউনিক হ্যাবিট গুলিই আপনার ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে আপনাকেও খুব সহজেই একজন জিনিয়াস মানুষের পরিণত করতে পারে । তাই আজ আমরা এমনই কিছু ইউনিক অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলি কোন সাধারণ মানুষকে এক্সট্রাঅরডিনারি মানুষে পরিণত করতে পারে। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের পোষ্টটি শুরু করা যাক :-


Number 01):- Stop Multitasking...


Multitasking করা বন্ধ করুন। আজকাল Multitasking শব্দটি খুবই বেশি ব্যবহৃত হয়। Multitasking এর অর্থ হলো, একই সময় অনেকগুলি কাজকে একসঙ্গে সামলানো। যেমন ধরুন, আমরা যদি এন্ড্রয়েড ফোনের একটা ট্যাবে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে রাখি, আর একটা ট্যাবে ব্রাউজারে ডাউনলোড বসায়, এবং অন্য একটি ট্যাবে ভিডিও এডিটিং করতে থাকি, তাহলে তখন এটিকে Multitasking বলা চলে । কিন্তু মানুষের ব্রেন একটি সময় একটি কাজের জন্যই তৈরি হয়েছে অর্থাৎ আমাদের ব্রেইন কম্পিউটারের মতো করে একসঙ্গে মাল্টিপেল কাজ করতে পারে না । এই কারণেই বুদ্ধিমান বা জিনিয়াস ব্যক্তিরা কখনোই Multitasking করার কথা ভাবেন না । তারা একটি সময়ে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজের উপরেই তাদের সম্পূর্ণ ফোকাস লাগিয়ে দেন। তাই তাদের সাকসেস পাওয়ার চান্স অন্য সেইসব ব্যাক্তিদের থেকে অনেকগুণ বেড়ে যায় যারা Multitasking করার চেষ্টা করেন । তাই লাইফে নির্দিষ্ট কাজের প্রায়োরিটি নির্ধারণ করুন, এবং সেই কাজের উপর ফুল কনসেনট্রেট করুন অর্থাৎ দুই নৌকায় পা দিয়ে চলাটা বন্ধ করুন এবং একবারে একটি কাজের উপর ফোকাস করে নিজের সাকসেস নিশ্চিত করুন। আর আপনার ব্রেনের পাওয়ারকে আনলিমিটেড করে তুলুন। 


Number 02 ):- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যতটুকু সম্ভব জল পান করতে হবে ।


আমাদের ব্রেনের 73 শতাংশ জল দিয়ে গঠিত। কিন্তু আমরা কখনোই ব্যাপারটাকে সেভাবে গুরুত্ব দিই না।

আসলে আমাদের ব্রেনকে আরও এক্টিভ করতে বিশেষ কতগুলি টিপস ফলো করা উচিত এবং মজার ব্যাপার তো এটাই, যে এই টিপস গুলিকে আমাদের মধ্যে 90 শতাংশ মানুষেরই জানা । কিন্তু আমরা কখনোই এই সামান্য জিনিসগুলোকে ইম্পর্টেন্ট দিতে চাইনা ! সো আমি আপনাদেরকে এটাই মনে করাতে চাইছে যে,এই সামান্য টিপসগুলো উপরই আমাদের বেশি ইম্পর্টেন্ট দেওয়া উচিত। যাতে আমাদের সকলের সাধারণ ব্রেন এক সুপারব্রেনে পরিণত হতে পারে। এবং আমরা লাইফে সব সময় গ্রো করতে থাকতে পারি ।


Number 03 ):- ফোন নাম্বার মনে রাখুন ।


ফোন নাম্বার তো অবশ্যই আপনার মোবাইলে সেভ করবেন। কিন্তু ফোন করার সময় নাম্বার নিজে থেকে ডায়াল করেই ফোন করার চেষ্টা করুন । আপনার হয়তো মনে হতেই পারে যে এটা আবার কি ধরনের আজব অভ্যাস। কিন্তু ভাই আপনার হয়তো ধারনাই নেই যে এই অভ্যাসটি আমাদের ব্রেন পাওয়ারকে কতগুণ দ্রুত করে তুলতে পারে। কোন ফোন নাম্বার সেভ করে রাখা, এক্সামের সময় ক্যালকুলেটর ইউজ করা যদি এতটাই সহজ ভাবে সবকিছু করতে থাকো তবে মেমোরির এক্সেসাইজ কিভাবে হবে ? এর ফলে আপনার মেমোরির মনে রাখার ক্ষমতা আরও কমজোর হয়ে উঠতে থাকবে ! কোন মেশিনকে যদি রেগুলার চালনায়ই না করা হয় তবে তা ঠিকমতো কিভাবে কাজ করবে ? তাই আপনিও যদি আপনার ব্রেনকে কাজে না লাগিয়ে শর্টকাট ব্যবহার করতে থাকেন তবে কিভাবে আপনার ব্রেইন জিনিয়াসদের মত দ্রুত কাজ করতে পারবে ? তাই চেষ্টা করুন প্রতিটি ফোন নাম্বার কে মনে রাখার এবং যে ব্যক্তির ফোন নাম্বার আপনি মনে রাখার চেষ্টা করছেন সেই ব্যক্তির নাম ও ফোন নাম্বারের সাথে আপনার ব্রেন এর মধ্যেই মনে রাখার চেষ্টা করুন। এভাবেই একসময় আপনার ব্রেনের মধ্যে একটি ম্যাপ তৈরি হয়ে যাবে । এটি যদি আপনি প্রতিদিন করতে থাকেন তবে আপনার স্মরণ শক্তি বা মেমোরি পাওয়ার অলওয়েজ বাড়তেই থাকবে । যা আপনাকে খুব সহজেই একজন জিনিয়াস মানুষ বানিয়ে ফেলবে।



Number 04):- আপনার স্বপ্নকে রিভিউ করার চেষ্টা করুন।


অর্থাৎ স্বপ্নকে মনে করার চেষ্টা করুন। স্বপ্নকে রিভিউ করার কারণ হলো, যে আমাদের ব্রেইন অলটাইম কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকে, তা পড়াশোনার ক্ষেত্রে হোক, বা ব্যবসা কিন্তু আসল ব্যাপার তো এটাই যে যতটা অ্যাক্টিভ আমাদের ব্রেন দিনভর থাকে অর্থাৎ দিনের বেলা আমাদের ব্রেন যতটা ব্যস্ত থাকে রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পরেও আমাদের ব্রেন ঠিক ততটাই ব্যস্ত থাকে, অর্থাৎ আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের ব্রেইন কাজ করতে থাকে এবং আমাদের প্রবলেমের সলিউশন খুঁজতে থাকে অর্থাৎ রাতে ঘুমের মধ্যে আমাদের ব্রেনের প্রবলেম সলভিং প্রসেস চলতে থাকে আর এর ফলেই তখন আমাদের ব্রেনে স্বপ্ন জেগে ওঠে । কিন্তু স্বপ্নকেই আমরা ইগনোর করে ফেলি আর সমস্যা তো এটাই যে বেশিরভাগ মানুষই তার স্বপ্নকে আর মনে রাখতে পারেন না । সকালে ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই সবকিছু ভুলে যায়। যেভাবে মোবাইল নাম্বার মনে রাখায় আমাদের ব্রেনের মেমোরি স্টিমুলেট হতে থাকে ঠিক একইভাবে যখন আপনি স্বপ্নকে মনে রাখার চেষ্টা করবেন তখন আপনি আপনার ব্রেনকে খুব গভীরভাবে স্পর্শ করবেন যাতে আপনার স্মরণশক্তি ও স্টিমুলেট হতে থাকবে । তাই সকালে উঠে অবশ্যই একটু ভাবুন যে আপনি রাতে কি স্বপ্ন দেখলেন।


Number 05):- Gratitude


Gratitude এর অর্থ হলো, ব্রেইনকে ওই জিনিসের জন্য ধন্যবাদ জানানো যা আপনার কাছে আগে থেকেই রয়েছে । এই পদ্ধতিটি আপনার ব্রেনকে আরও দ্রুত করে তুলবে যদি আপনি ইউনিভার্স কে ধন্যবাদ জানান, তাহলে আপনার ব্রেনের কেমিক্যাল ব্যালেন্স থাকবে, এবং এই Gratitude থেকে আপনি প্রচুর পজিটিভ শক্তি পাবেন । আপনার মনে হয় তো অনেক সময় এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে যে আমরা আমাদের রাগ কিভাবে কন্ট্রোল করতে পারবো ? কিভাবে সবসময় খুশি থাকতে পারবো ? তাহলে আপনাদেরকে বলবো যে রাগ হলো আমাদের ব্রেনের ডিসব্যালেন্স কেমিক্যাল , তো যখন আপনি ব্রহ্মান্ডের উপর Gratitude বা থ্যাংকস ফুল হন তখন ব্রেনের মধ্যেকার কেমিক্যাল ব্যালেন্স মাত্রায় আসতে থাকেন , এবং এই অবস্থায় আপনার ফোকাস ইন্টেলিজেন্স দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। যদি আপনি ওই জিনিসের প্রতি গ্রেটফুল না হন, যা আপনার কাছে আগে থেকেই রয়েছে তাহলে তো আপনার সেই জিনিস পাওয়া হয়ে উঠবে না যা আপনি পরবর্তিতে পেতে চাইছেন । একটা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, যেসব ব্যক্তি 80 থেকে 90 বছর বাঁচে তাদের এতদিন বাঁচার প্রধান সিক্রেট হলো Gratitude ‌। আপনার হয়তো বিশ্বাসই হবেনা কিন্তু যেসকল ব্যক্তিরা বেশি বয়স পর্যন্ত বাঁচেন তারা সকলেই ব্রহ্মাণ্ডকে ধন্যবাদ জানান, তার জন্য যা তার কাছে আগের থেকেই ছিল। আর ঠিক এই কারণেই ঐ সকল ব্যক্তি তার জীবনের সবকিছু লাভ করতে পারেন যা তারা চেয়েছিলেন। কারণ তারা সব সময় সকল জিনিসের জন্য খুশি থাকতেন এবং থ্যাংকস ফুল থাকতেন ব্রহ্মান্ডের কাছে যা তাদের পুরো শরীরে পজেটিভ প্রভাব ফেলতো ।স


Number 06):- Deep Breathing Exercise


অক্সিজেন আমাদের জীবনে যে কতটা বেশি প্রয়োজন তা সম্পর্কে আপনার হয়তো কোন ধারণাই নেই ? অনেক মানুষই বলেন যে তারা সব সময় ক্লিয়ার ফিল করেন না তারা ব্রেনের মধ্যে সবসময় ভারী ফিল করেন। এমন মনে হয় যেন ব্রেনের মধ্যে ট্রাফিক জ্যাম চলছে, এর প্রধান কারণ হলো অক্সিজেনের অভাব অর্থাৎ ব্রেনে অক্সিজেনের কম সঞ্চালন । ওজন হিসেবে ব্রেন হলো আমাদের শরীরের মাত্র 2 শতাংশ কিন্তু এই 2 শতাংশ ব্রেনই আমাদের শরীরের পুরো অক্সিজেনের কুড়ি শতাংশ ব্যবহার করে। তাই অক্সিজেন আমাদের শরীরে পেট্রোল এর মতো কাজ করে। এই কারণে Deep নিঃশ্বাস আমাদের শরীরে খুবই প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এক্সারসাইজের মাধ্যমে কিছু Deep নিঃশ্বাস নিন যাতে আপনার ব্রেনে নরমাল এর থেকে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে । এটি সকালে মাত্র দুই থেকে তিন মিনিট করলে এর প্রভাবে আপনার শরীরে সারাদিন অনেক বেশি এনার্জি থাকবে । এর মাধ্যমে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার পড়াশোনায় মন লাগবে, চাকরি কিংবা ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি অনেক ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন । আর আপনার শরীরের সমস্ত ক্লান্তি ও দূরে সরে যাবে। কারণ সকালে আপনি অক্সিজেন দিয়ে আপনার শরীরকে স্টিমুলেট করে দিয়েছেন এজন্য Deep নিঃশ্বাস এক্সারসাইজ অবশ্যই করুন এবং নিজের ব্রেনের লিমিটকে বাড়িয়ে নিয়ে যান ।


Number 07) :- চুইংগাম চিবানো


এটা একটা খুবই হাস্যকর ফ্যাক্ট কিন্তু আমাদের অবশ্যই জানা দরকার যে চুইংগাম চিবানোর লাভটা কি ? এটা আমাদের পাচন শক্তি বৃদ্ধি করে ও ব্রেনকে আরও দ্রুত করে, এর সঙ্গে চুইংগাম আমাদের ফেসকে স্বতস্ফূর্ত করে তোলে , যাতে আমাদের ফেসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং এর সঙ্গে ব্রেনের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ যখন আপনার মুখ চলতে থাকে তখন ব্রেনের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় । ও ব্রেন আরো দ্রুত কাজ করতে পারে , এর মানে এই নয় যে রাতদিন আপনি সবসময় চুইংগাম চাবাতে থাকবেন । কারণ যে কোন জিনিসেরই ভালোদিক থাকার সাথে সাথে কিন্তু একটি খারাপ দিকও থাকে ।


Number 08):- Power Nap


Power Nap অর্থাৎ মাঝে মাঝে অল্প অল্প রেস্ট নেওয়া অর্থাৎ কাজের ফাঁকে পনেরো-কুড়ি মিনিট সময় পেলে একটা ছোট্ট ঘুম দিয়ে নিন এটাই পাওয়ার ন্যাপ বলে। ব্রেনের যত সাইন্টিস্ট রয়েছেন তারা সবসময় দিনে ছোটখাটো ঘুমের কথা বলেন। আসল ব্যাপারটি হলো যে ব্রেনের কিছুটা এক্সট্রা রেস্ট এর প্রয়োজন হয়। যা রাত্রেবেলা ঘুমে আমাদের পুরোপুরি পূরণ হয় না ! তাই দিনের বেলা ক্লান্ত ব্রেনকে কাজের ফাঁকে পনেরো - কুড়ি মিনিট রেস্ট দিন। যাতে আমাদের ব্রেন পুড়ো পাওয়ারের সঙ্গে কাজ করতে পারে। তাই দুপুর বা দিনের যেকোনো সময় পারলে 15 থেকে কুড়ি মিনিট চোখ বন্ধ রাখুন, ঘুম আসলে তো ভালো আর যদি না আসে তাও কিছুটা সময় এক জায়গায় বসার কারনে শরীর ও ব্রেনে কিছুটা রিলাক্স ফিল হয় যেটা আপনার ব্রেনের কর্মক্ষমতাকে অবশ্যই বৃদ্ধি করবে।



পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে আরো ভালো ভালো পোস্ট লেখার জন্য আমাদেরকে উৎসাহিত করুন। আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে তাদেরকেও লাইফের সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।