এই গল্পটি আপনার Attitude কে বদলে দিবে । Best Life Changing Story..





মানুষের নাম বড় হয় তার দ্বারা করা কাজের কারণে। তা না হলে একই নামের অনেক মানুষ আছে। আর এই কথাটা আপনারা কখনো না কখনো অবশ্যই শুনেছেন। কিন্তু আজ আমি আপনাদের একটি ছোট্ট স্টোরি শেয়ার করবো আর এটা আপনাদের কে বোঝানোর চেষ্টা করবো । তো চলুন শুরু করা যাক:-


 একবার একটি ছেলে যে তার কাজটি অনেক ভালোভাবে করতো । আর যে কাজকে ভালোবাসে যার মধ্যে কোন কাজের কোয়ালিটি থাকে তাকে সবাই গুরুত্ব দেয় । একবার ঐ ছেলেটি একটি টেলিফোন বুথে যায় । সেখানে একটি দোকানদার বসে আছে উনাকে বলার পরে একটি ফোন নাম্বার ডায়েল করেন, আর দোকানের মালিক ছেলেটিকে দেখছিল। ছেলেটি ফোনে বলে হ্যালো, অপরপ্রান্তে একটি মহিলা ছিল তিনি রেসপন্স করেন‌। এরপর ছেলেটি বলে আপনি কি আমাকে জব দিতে পারবেন আপনার বাড়ির বাগানের দেখাশোনা করার জন্য ? আর বলে আমি খুব ভালো বাগানের খেয়াল রাখতে পারি। আর আমার এক্সপেরিয়েন্স ও আছে। তাই আপনি আমাকে চাকরিটা দিতে পারেন। কিন্তু এই মহিলাটি মানা করে দেয় আর বলে আমার কাছে অলরেডি একজন আছে যে এই কাজটা অনেক ভালোভাবে করছে ! এরপর ছেলেটি আবার বলে, আমার কাজ তার থেকে অনেক বেশি ভালো হবে আর আপনি এখন তাকে যে স্যালারি দেন আপনি আমাকে তার অর্ধেক দেবেন । এরপরে মহিলাটা বলে, যে আমার কাছে কাজ করে আমি তার কাজে সন্তুষ্ট আমার অন্য কোন ছেলের প্রয়োজন নেই। এরপর ছেলেটি আবার বলে, আমি আপনার কাছে এক মাস ফ্রি কাজ করবো, আর মহিলাটা আবার মানা করে দেয়। এরপর ছেলেটি আবার বলে, বাগানের কাজের সাথে সাথে আমি আপনার বাড়ির কাজও করে দেবো। এরপর মহিলাটা বলে নো থ্যাংকস আমার প্রয়োজন নেই । আর রিজেক্ট হওয়ার পরেও ছেলেটি হাসিমুখে ফোনটা রেখে দেয়। আর এরপর দোকানের মালিক ছেলেটিকে বলে, আমার তোমার অ্যাটিটিউড অনেক ভালো লেগেছে তুমি একের পর একটা অফার দিয়ে যাচ্ছিলে তুমি তোমার কাজকে নিয়ে কতোটা প্যাশানেট। তুমি তোমার কাজকে নিয়ে কতোটা সিরিয়াস থাকো আর আমার এমনই একটি মানুষ প্রয়োজন। আমার দোকানে তুমি কি চাকরি করবে আমি ওই মহিলাটা থেকেও বেশি মাইনে দেবো ? এর পর ছেলেটি বলে নো থ্যাংকস । এরপর দোকানদার বলে, তুমিই তো একটু আগেই মহিলাটার কাছে জিজ্ঞেস করছিলেন চাকরির জন্য, আর এখন মানা করছো? তাছাড়া আমি তো বেশি মাইনে দিতে চাচ্ছি ! এর পর ছেলেটি যে উত্তর দেয় সেটা শুনে দোকানদার চুপ হয়ে যায়। ছেলেটি বলে, আমি ওই মহিলার কাছে কাজ করি। ওই মহিলা বলছিলো না যে আমার কাছে অলরেডি একজন আছে যার কাজে আমি সন্তুষ্ট। সেই ছেলেটি আমি, আননোন নম্বর থেকে ফোন করে আমি আমার কাজের পারফরম্যান্স চেক করছিলাম, এটা দেখছিলাম আমার কাজে সন্তুষ্ট কিনা । উনি কি অন্য কোন ছেলে খুঁজছেন নাকি আমাকে ছাড়তেই চায় না । ওই মহিলা আমাকে মানা করে আমার কাজের ভ্যালুকে বাড়িয়ে দিয়েছে। যে মানুষ তার কাজকে নিয়ে প্যাশানেট হবে পৃথিবী এমন মানুষকে কখনোই ছাড়তে চাইবে না । কারণ পৃথিবী এটা জানে প্যাশানেট মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়। যদি আপনার মধ্যে স্পেশাল কোন ট্যালেন্ট থাকে আর আপনার মনে হয় ওই কাজটা আপনার থেকে কেউ ভালো করতে পারবে না আর আপনি আপনার ট্যালেন্টকে কাজে লাগিয়ে  জীবনে সাকসেস পেতে চান , তাহলে

আপনার কাজকে ফলো করুন , আপনি যে কাজে পারদর্শী সেই কাজকে গুরুত্ব সহকারে করতে থাকুন । দেখবেন সফলতা আপনাকে নিজে ধারা দিবে ।




তো বন্ধুরা সবশেষে এটাই বলতে চাই যে,

 খুঁজুন নিজেই নিজের কাজকে, আপনার প্যাশানকে যেটাকে আপনি এক কোনায় ফেলে রেখেছেন। খুঁজুন এমন কি আছে যেটাকে পাওয়ার জন্য আপনি আপনার কমফোর্টজোন থেকে বাইরে এসেও খুশি থাকতে পারবেন। আর হয়ে যান জেদী , আপনার ঐ স্বপ্ন , ঐ প্যাশানটাকে পূরণ করার জন্য। কে বলতে পারে হয়তো আপনার ঐ জেদ আপনাকে সাফল্যের এমন গন্তব্যে পৌঁছে দেবে যা পরবর্তী সময়ে আপনার জেদের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হবে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার জন্য । তো খুঁজুন আপনার ঘুমন্ত স্বপ্নকে, আপনার প্যাশানকে আর হয়ে যান জেদী , ঐ স্বপ্নটা পূরণ করার জন্য।